কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুতিরপার এলাকার একটি সেতু। প্রায় ১৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে গেছে সেতুটি। বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো।
এরপর থেকে এ সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার একটি গ্রামের হাজারও মানুষকে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এমনই এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বিলকিস খাতুন নামের এক প্রসূতি। ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সাঁকোটি গাড়ি চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য। তাই হেঁটে পার হচ্ছিলেন সবাই। একপর্যায়ে ভাঙা সাঁকোয় দিয়ে যাওয়ার কারণে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিলকিস খাতুন। তখন প্রসব বেদনা ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে জন্ম দেন ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। সন্তানের নাম রাখা হয় স্বপ্না আক্তার।
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝিপাড়া-মন্ডলপাড়া-খাটিয়ামারী সড়কের সুতিরপার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রসূতি বিলকিস খাতুন সাইজুদ্দিনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি রৌমারী সদর ইউনিয়নের সুতিরপার এলাকায়।
প্রসূতি বিলকিস খাতুনের ভাই শাফি আহমেদ বলেন, শুধু সেতু নির্মাণ না হওয়ার কারণে আজ আমার বোন পথেই সন্তান জন্ম দেয়। এটা বড় দুঃখের বিষয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ ভাঙা সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগে আছি আমরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু এর কোনো প্রতিকার মিলছে না। দ্রুত একটি টেকসই সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এ কারণে আজ এক প্রসূতি মা সন্তান প্রসব করেছেন। বাঁশের সাঁকোটিতে। চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করা হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মনছুরুল হক বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই সড়কের বিষয়টি আমার জানা নেই।
মন্তব্য করুন