
চট্টগ্রাম কলেজে ফের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গ্রুপ দুটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ সময় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে হয়ে গেলেও দুপুর দেড়টার দিকে ফের মুখোমুখি অবস্থান নেয় গ্রুপ দুটি। এ সময় দুই গ্রুপের অনুসারীরা রড, লঠিসোটা হাতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। দুদিন আগে চকবাজার এলাকায় সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ অনুসারীরা একজনকে অপমান করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে সবুজ গ্রুপের ওপর চড়াও হয় মাহমুদুলের অনুসারীরা। এরপর দুপুরের দিকে লাঠিসোটা নিয়ে দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মোজাহেদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘শুনেছি সবুজ গ্রুপ মাহমুদুলের ছোট ভাইকে গতকাল অপমান করেছিল। পরে এটি নিয়ে আজকে সকালে দুই গ্রুপ ঝামেলা করেছে। তবে মারামারি হয়নি।’
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা জানান, লাঠিসোটা আর রডের আঘাতে দুই গ্রুপের ৫-৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র সাফায়েত করিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে দাবি করেছেন মাহমুদুল করিম।
তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘বহিরাগতদের নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় এক নেতার ইন্ধনে বহিরাগতরা বারবার নৈরাজ্য করছে। চকবাজারে নৈরাজ্য কারা করে আপনারা সবাই জানেন।’
এ ব্যাপারে জানতে সুভাষ মল্লিক সবুজের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের মজুমদার কালবেলাকে বলেন,‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই গ্রুপ কেন মারামারিতে জড়িয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি।’