কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে তিন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহতদের একজনের বাবা বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে বন বিভাগের দায়ের করা দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে।
আজ শুক্রবার সকালে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বুধবার রাতে নিহত তিনজনের মধ্যে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের নুর কবিরের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে আটজনের নামে উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেননি তিনি।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো. শফিউল আজম জানান, বন বিভাগের দায়ের করা দুটি মামলার বাদী উখিয়ার বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। বুধবার এ মামলা দুটি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তা সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বন আইনে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের অভিযোগে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়। যার একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ছয়জনকে।
আসামিরা হলেন উখিয়ার মুহুরীপাড়ার আলী আহমদের ছেলে নেচার আহমদ (৫০), মধুরছড়ার মীর আহমদের ছেলে মো. আলম (৩৮), শীলের ছড়ার মৃত আবুল বলির ছেলে নুর মোহাম্মদ বলি (৩৬), একই এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০), মুহুরী পাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭)।
অপর মামলায় আসামি করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন মুহুরীপাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭), শীলের মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০)।
বুধবার ভোরে উখিয়া সদরের মুহুরীপাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপায় নিহত হন উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহেদ হোসেন (২২), ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে নুর কবির (৩০) ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পের মিন্টু হোসেনের ছেলে সৈয়দ আকবার (৩৩)।