আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা গাউসুল আজম শাহসুফি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারির ১১৭তম বার্ষিক ওরশ শেষ হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী ওরশের শেষ দিন আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবারে মিলাদ, জিকির ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
লাখো ভক্তের অংশগ্রহণে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীনে দরবার হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারি।
এর আগে আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভাণ্ডারি (শাহ এমদাদিয়া) কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সচিব শেখ মুহাম্মদ আলমগীরের পরিচালনায় ওরশে মিলাদ পরিচালনা করেন মওলানা জয়নাল আবেদীন ছিদ্দিকী।
এ সময় সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘অলিরা রাসুলের প্রতিনিধি। তাদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রান্তিলগ্নে সবসময় সুফি সাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামোর রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।’
মাইজভাণ্ডারি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারি শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারি তরিকা প্রবর্তন করেছেন। এই তরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এর অনুসারীরা ঐশী প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’
মিলাদে আরও উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, ফনিক্স শিপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু তাহের এবং আওলাদে গাউসুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন।
ওরশে আগত ভক্তদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। সুষ্ঠুভাবে ওরশ শেষ করতে সহযোগিতা করায় ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারি।