
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা নৈতিকতায় বিশ্বাস করি এবং ধর্মীয় শিক্ষা সেই নৈতিকতার মূল স্তম্ভ। পাঠ্যবইয়ে কোথাও ধর্মবিরোধী কোনো বিষয় থাকার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক অপ্রচার চলছে।
আজ শনিবার নগরের বায়েজিদের আরেফিন নগরে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের স্থায়ী ক্যাম্পাসে দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে যারা ভুল শনাক্ত করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে কিছু ভুল শনাক্ত হয়েছে। একেবারেই খুব বড় তথ্যগত ভুল বঙ্গবন্ধুর শপথ গ্রহণের ব্যাপারে। ২০১৩ সাল থেকে প্রত্যেক বইয়ে এ ভুল ছিল। এ বছর শিক্ষার্থীরা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছে বলেই ভুলটি ধরা পড়েছে। আমি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নানা অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিন বছর আগের ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একটি বইয়ের ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যে বইটি সেখানেও চলে না। একটি অপশক্তি আছে যারা এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা শুধু দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও স্থিতিশীল পরিবেশ নষ্ট করতে চায়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লার্স রাসমুসেন বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নারী শিক্ষায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিছু দেশে নারী শিক্ষা বেশ কঠিন। তাদের জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রুবানা হক বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফলতার সাক্ষর রাখছেন। বিগত বছরগুলোতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের দারুণ অগ্রগতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ব্রিটিশ ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার, সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস জন সেক্সটন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি) নামে বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় গড়া শুরু করেছিলেন বলেই আমাদের ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনলোজি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটাচ্ছি একেবারে প্রাক প্রাথমিক থেকে উচ্চতর পর্যন্ত। আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ভাষা, আইটি উদ্যোক্তা হওয়া শিখাতেই হবে।’