চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে আসা এক নারী অভিযোগ করেছেন, তাকে টিউমারের চিকিৎসা দিয়ে তার স্তন কেটে ফেলেছেন চিকিৎসক। ‘ভুল’ চিকিৎসার কারণে বর্তমানে তিনি জীবন সংকটে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কোহিনুর বেগম নামের ওই নারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নগরীর কুয়াইশ নতুন রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, ওই নারীর অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
কোহিনুর বেগম বলেন, ‘মা ও শিশু হাসপাতালে জেসমিন বেগম নামে এক চিকিৎসক আমাকে ক্যানসারের চিকিৎসা করিয়ে টিউমারের চিকিৎসা করান। তিনি আমার ব্রেস্ট কেটে ফেলেন। এখন আমার জীবন সংকটে আছি।’
কোহিনুর বেগম কালবেলাকে জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ডা. জেসমিনের অধীনে চিকিৎসা নিতে শুরু করেন তিনি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তির পর ২৫ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচার করে তার স্তন কেটে ফেলা হয়।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন পরীক্ষায় ক্যানসার শনাক্ত হলেও বিষয়টি গোপন করে স্তন কেটে ফেলেন ডা. জেসমিন। যা তারা অবগত ছিলেন না।
এর আগে অন্য কোনো চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিয়েছিলেন কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এর আগে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিইনি। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি উনি (ডা. জেসমিন) ভালো চিকিৎসা করান, তাই ওনার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনার দেওয়া বিভিন্ন ওষুধ ও স্তন কেটে ফেলার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অন্য চিকিৎসকের কাছে শরণাপন্ন হয়েছি। সবশেষ আজ অভিযোগ করেছি।’
তবে এ বিষয়ে মা ও শিশু হাসপাতালের ব্রেস্ট ক্যানসার সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জেসমিন বেগম বলেন, ‘ওই রোগীকে যথাযথ পরীক্ষা শেষে অপারেশন করা হয়েছে। তার অনুমতিও নেওয়া হয়েছে। এগুলোর ডকুমেন্টস আছে।’
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘এক রোগীর একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য বিভাগে জমা দেবে, তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’