
পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় থাকা অবৈধ ২৫টি ইটভাটা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার উচ্চ আদালতের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
এর আগে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাত দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আদেশ অমান্য করায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সাত কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়া লিগ্যাল নোটিশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপপরিচালক, চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং চন্দনাইশ থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন সম্প্রতি চন্দনাইশ উপজেলা পরিদর্শন করে দেখতে পেয়েছে অবৈধ ২৫টি ইটভাটা ব্যবসা পরিচালনা করেছে।
যদিও ২৫ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ ছিল তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, গত ১২ মার্চ ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ইটভাটাকে বন্ধের পরিবর্তে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে যা উচ্চ আদালতের আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলেও পরে মালিকরা সবাইকে ম্যানেজ করে ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে।
তাই পরিবেশের ক্ষতি করার কারণ ও উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সাত কর্তৃপক্ষকে এই লিগ্যাগ নোটিশ পাঠানো হয়।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম কালবেলাকে বলেন, ‘লিগ্যাল নোটিশটি এখনো আমি হাতে পাইনি।’
মার্চে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দুই লাখ টাকা জরিমানা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি অনেক পুরোনো বিষয়। একটু দেখে জানাতে হবে।’