ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে এ বিষয়ে হাইকোর্ট রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। শাহ মঞ্জুরুল হক কালবেলাকে বলেন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে জারি করা রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি হলে, দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের আদেশ পালন নাও করা লাগতে পারে।
এর আগে ডামি এলসির মাধ্যমে অর্থ পাচারের ঘটনায় ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকে শান্তনা এন্টারপ্রাইজ সংক্রান্ত এলসির রেকর্ড আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ন্যাশনাল ব্যাংক।
দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে ব্যবহার করতেই ডামি প্রতিষ্ঠানের নামে এ দুটি এলসি খোলা হয়েছিল দাবি করে গত ৮ জানুয়ারি রিট করেন ব্যাংকটির শেয়ার হোল্ডার ও আইনজীবী চৌধুরী হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।