পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার পৌষ মাসের শুরুতেই দাপট দেখাচ্ছে শীত। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে গতকাল বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। তাপমাত্রা আরও কমবে এবং শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা আরও বাড়বে। চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা না থাকলেও জানুয়ারিজুড়ে কমপক্ষে দুটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আসবে।
এদিকে ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এই কারণে সর্দি, কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। প্রতিদিন ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
এ ছাড়া তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমি এলাকার কৃষি শ্রমিক হান্নান বলেন, ‘য্যারাম জাড় লাগজে। ঘরে ট্যাকা থাকলি এত কষ্টের মদ্দি বের হতাম না।’
শহরের রেলগেট চত্বরে ভ্যানচালক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘একদিকি জাড়, আরাকদিকি বাতাস। খুপ কষ্ট করেই সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়চি। মনডা বলচে ঘরে শুয়ে থাকি। পেটে খিদে থাকলি কী আর শুয়ে থাকা যায়?’