কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। মানুষের পাশাপাশি জবুথবু অবস্থা পশুপাখিরও। আজ মঙ্গলবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে আজ দিনাজপুরে বেড়েছে হিমেল হাওয়া। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে এ জেলার শ্রমজীবী ও দরিদ্র মানুষের।
সকাল সাড়ে ৭টায় কাঞ্চনঘাট এলাকায় কথা হয় শ্রমজীবী মমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আইজজার জার (শীত) খুবই বেশি নাগেছে। গরম কাপড়চোপড়ের এইবার মেলায় (বেশি) দাম। খুবই কষ্টত আছি বাহে।’
বালুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অটোভ্যানচালক মফিজুল বলেন, ‘খুবই কষ্টে আছি ভাই। এই শীতে ভাড়া-বাট্টা নাই। সকাল সকাল মানুষ ঘরের বাইরেই বের হচ্ছে না।’
শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সেইসঙ্গে গরম কাপড় বেচাকেনাও বেড়েছে দিনাজপুরে।