নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠার পর বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রেখে দিনভর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আঙ্গুর মিয়া (৫০) পাড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার রশিদ বিপ্লবের নির্দেশে তার ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আঙ্গুর মিয়াকে তুলে নিয়ে আসে। পরে পরিষদে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দিনভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
আঙ্গুরের স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, তাদের ছেলে নাকি ছাগল চুরি করেছেন, এমন মিথ্যা অভিযোগে ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের লোকজন। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আমার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি অনুরোধ রাখেননি। উল্টো চেয়ারম্যান এক লাখ টাকা দাবি করেছেন।’
রিমা আক্তার বলেন, ‘ছেলে অপরাধ করলে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করা হোক। কিন্তু আমার স্বামীকে এভাবে ধরে নিয়ে এসে মারধর করায় আমাদের সম্মান হানি ঘটেছে। আমি চেয়ারম্যানের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব বলেন, ‘আঙ্গুর মিয়ার ছেলে সাকিব আগে অনেক গরু-ছাগল চুরি করেছেন। ছাগল চুরির সহযোগী মাহমুদুল হাসানকেও আটক করেছি। সে এখন আমার কার্যালয়ে রয়েছে। আঙ্গুরের ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে এলাকার লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে।’
ছেলেকে না পেয়ে বাবাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছেলেকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় বাবাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।’
মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ তারা পাননি; পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।