পটুয়াখালীর বাউফলে মোসা. হালিমা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্বামী রাকিব মুন্সির (২৭) নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার। ঘটনার পর রাকিব (স্বামী) গা-ঢাকা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, আট বছর আগে রাকিব মুন্সির সঙ্গে বিয়ে হয় হালিমা বেগমের। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছেন।
হালিমার বাবা কুদ্দুস মুন্সির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে নির্যাতন করতেন স্বামী রাকিব মুন্সি। তার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে রাকিব পালিয়ে গেছে।
হালিমা বেগমের ছোট বোন মোসা. জান্নাত জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মুঠোফোনে তার ভগ্নিপতি রাকিব জানায় হালিমা অসুস্থ, হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটু পরে খবর পান মারা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার বোনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে তার শাশুড়ি মোসা. রেনু বেগম (৫০) বসে পান খাচ্ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে হালিমা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
মৃত হালিমার শাশুড়ি মোসা. রেনু বেগম বলেন, ‘আমরা আলাদা থাকি। কী হয়েছে, বলতে পারি না। শুনেছি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।’
স্বামী পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘রাকিব মুন্সি পলাতক রয়েছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গ্যাস ট্যাবলেট (ধানের পোকা নিধনের ওষুধ) খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’