ঈদের ছুটির প্রথম দিন গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল আরোহী ও যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
অতিরিক্ত চাপ থাকায় ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছয়বার ফেরি পারাপার হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ শতাধিক মোটরসাইকেল ও যাত্রী পার করা হয়। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় দুই শতাধিক মোটরসাইকেল আরোহী ও যাত্রীকে।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে মোটরসাইকেল ও যাত্রীর চাপ থাকলে পদ্মা সেতু টোল প্লাজা এলাকায় যানবাহনের তেমন চাপ দেখা যায়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথের যাত্রীরা বলছে, যদি বুধবার থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হওয়ার অনুমতি দিত, তাহলে রোজা রেখে প্রচণ্ড রোধের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো না। তার পরেও সরকার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার থেকে সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, তাতেই সবাই আনন্দিত।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন বলেন, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ৩ ঘণ্টা পরপর ফেরি ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রী ও মোটরসাইকেলের অতিরিক্ত চাপ থাকায় ১ ঘণ্টা পরপর শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার শুরু হলেও সরকারি আদেশ না আসা পর্যন্ত শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি ফেরি চালু রাখব।