ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে আমন ক্ষেত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হালকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসে নুয়ে পড়েছে আমনের এসব ক্ষেত।
চাষিরা বলছেন, ধান পড়ে যাওয়ায় এবার ফলন কমে যাবে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করার জন্য কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
এদিকে, আগাম রোপণ করা আমন ধান আর কিছুদিন পর থেকেই কাটা শুরু করবেন কৃষকরা। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পাকা আমন ক্ষেতে অল্প ক্ষতি হলেও যেসব ক্ষেতে সদ্য শীষ বের হয়েছে, সেসব জমির ধানের ক্ষতি হবে অর্ধেকেরও বেশি।
গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের ধানচাষি মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমার তিন বিঘা আমন ধান ছিল, যা ১০ থেকে ১২ দিন পর কাটতে পারতাম। কিন্তু রাতে বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসে পুরো জমির ধান পড়ে মাটিসমান হয়ে গেছে। ধান পড়ে যাওয়ায় আগে যে ফলন পেতাম, তা আর পাব না।’
একই এলাকার ধানচাষি সাঈদ আলী জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদ্য শীষ বের হওয়া ধানগুলোর। গাছ পড়ে যাওয়ায় ওই শীষগুলোতে ধানের দানা কম, চিটা বেশি হবে। এতে করে ধানের ফলন অর্ধেক কমে যেতে পারে। তিনি আরও জানান, এমনিতেই এবার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে, বাড়তি সেচ খরচ দিয়ে আমন চাষ করা হয়েছিল। তার ওপর ঝড়ে ধানক্ষেত পড়ে গেছে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. লাভলী খাতুন কালবেলাকে বলেন, ‘বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসে আমনের ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত আমন ক্ষেতের তথ্য সংগ্রহ করে কী পরিমাণ জমিতে আমনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে পারব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারও কিছুই করার না থাকলেও যদি কোনো জমিতে পানি জমে যায়, তাহলে দ্রুত পানি অপসারণ করে ফেলতে হবে।’