লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে দুই সন্তান নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে সুমি আক্তার এবং তার মেয়ে ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে (৩৮) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন- সুমি আক্তার (২৭), তাসমিরা তাবাসুম তাসিন (৫) ও তৌহিদ (২)। সুমি উপজেলার রহমানপুর ধবসুতি এলাকার রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল শুক্রবার সকালে অভিমান করে সুমি আক্তার তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী একটি লোকাল ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। পরে ছেলে তৌহিদ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আলী কালবেলাকে জানান, সুমি আক্তার তার স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই শিশু সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সুমির বাবা আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করলে পুলিশ রাতেই রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে শাশুড়ি রাশেদা বেগম পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।