মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মাথার চুল কেটে এবং মুখে কালি দিয়ে এক কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো উপজেলার সুজালপুর গ্রামের বড় শীতলাই গ্রামের মো. হাবিরের স্ত্রী মোছা. কুলসুম বেগম (৩৫) এবং একই এলাকার মো. মফিজুল ইসলাম মফিজের স্ত্রী মোছা. দেলজান বেগমকে (২৬)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি মোছা. শারমিন মাহাবুবের (৫৫) বাসায় ভুক্তভোগী কিশোরী (১৫) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। কাজ করার একপর্যায়ে মিথ্যে দোষারোপ দিয়ে গালমন্দ শুরু করলে সে বাবার বাড়িতে অবস্থান শুরু করে। পরে একই বিষয় নিয়ে অন্য আসামিরাও কিশোরীটিকে দোষারোপ করে গালমন্দ করে।
এ বিষয়ে কিশোরীর মা-বাবা প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে শক্রতার সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গত ২ এপ্রিল সকাল আনুমানিক ১০টায় আসামিরা কিশোরীর বাড়ি গিয়ে তাকে মারধর করে এবং মাথার চুল কেটে দিয়ে মুখে কালি মেখে নির্যাতন করে। পরে তারা ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, এ ব্যাপারে বুধবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলার ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।