ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পেট্রল ঢেলে দেবরের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা লতিফা বেগম (৪২) অবশেষে হার মানলেন। তিন দিন রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান।
লতিফার ছেলে ফাহিম আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার মায়ের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
গত রোববার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামের মো. জাকারিয়ার স্ত্রী লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার দেবর মো. জালাল মিয়া।
জাকারিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার ছোট ভাই জালালের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। গত রোববার দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা ঘরে বসে পিঠা বানাচ্ছিল। এ সুযোগে জালাল পেছন দিক থেকে এসে তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
তিনি জানান, পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়েছিলেন।
নবীনগর থানার ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।