
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং ব্যবস্থাসহ ৯ দফা দাবিতে হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। তবে এ ধর্মঘটকে জিম্মি ও নৈরাজ্য বলে দাবি করছেন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীরা বলছেন, অযৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এদিকে সকাল থেকে কোনো যানবাহন চলাচল না করায় দুর্ভোগে যাত্রীরা।
এর আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মায়ের লাশ বহন না করা, রাস্তায় জোরপূর্বক গাড়ি আটকিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে গতকাল শনিবার রাতে তাদের ডাকা সংবাদ সম্মেলন বর্জন করে হবিগঞ্জের প্রেস ক্লাবসহ সব সাংবাদিক।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী ও সেবাগ্রহীতাদের অসুবিধার কারণে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ভেতর থেকে সব অ্যাম্বুলেন্স (বেসরকারিভাবে পরিচালিত) সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় জেলা অ্যাম্বুলেন্স সমিতি। পরে শ্রমিকরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা হাসপাতালের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স রেখে রোগীদের সঙ্গে অসদাচরণ করে; অনেক সময় তাদের কারণে রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি, যে কারণে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
রহিম মিয়া নামের এক যাত্রী জানান, তারা পরিবহন ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। কথায় কথায় পরিবহন ধর্মঘট। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এ ধরনের ধর্মঘট নৈরাজ্য ছাড়া কিছুই না। তিনি প্রশাসনকে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
মালতী রানী নামের এক মহিলা জানান, ধর্মঘটের ফলে আমাদের কষ্ট করতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে হলে দ্বিগুণ টাকা ভাড়া দিতে হয়।
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার জানান, তাদের পরিবহন ধর্মঘট অযোক্তিক। হাসপাতালের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড নেই। বাহিরে থাকতে পারে।
হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানান, শ্রমিকদের নিয়ে আমাদের চলতে হয়। তাই একাত্মতা প্রকাশ করে পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে।