স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন, মানুষও সচেতন হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। করোনা টিকাদানে আমাদের দেশ বিশ্বে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। চিকিৎসক-নার্সদের নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি হাসপাতালের যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের নতুন বহুতল ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালের নতুন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তামীম আল ইয়ামিন, সিভিল সার্জন ডা. কেএম শফিকুজ্জামান, হাসপাতসলের তত্ত্বাবধায়ক ডা. লোকমান হাকিম প্রমুখ।
সদর হাসপাতালের প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৯তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটিতে বর্তমানে সাততলা নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা জেনারেল হাসপাতালের নতুন আধুনিক ভবনটির প্রথম ফ্লোরে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, ইমার্জেন্সি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। দ্বিতীয় ফ্লোরে ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও চিকিৎসকদের জন্য রুম রয়েছে ১৪টি। তৃতীয় তলায় আছে চারটি অপারেশন থিয়েটার, অ্যাডমিন ব্লক ও ছয় শয্যার আইসিইউ। চতুর্থ তলায় রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, ১২টি পোস্ট ওটি, ১৬টি লেবার রুম, রোগীদের ২৮ বেড ও কনফারেন্স রুম রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ফ্লোরে রোগীদের জন্য রয়েছে ১৪০টি বেড। আর সপ্তম তলায় হচ্ছে রোগীদের জন্য ২৮টি কেবিন। ক্যাম্পাসে চিকিৎসকদের জন্য তিন তলায় একটি ডরমিটরি ভবনের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মুসা জানান, ২০১৯ সালের ১ জুলাই ২৫০ শয্যার হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।