কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। দিনভর গণনা শেষে আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে এ তথ্য জানান মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার সকাল ৮টায় মসজিদের লোহার ৮টি সিন্ধুক খোলা হয়। এসব টাকা ১৯টি বস্তায় করে নেওয়া হয় মসজিদের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা কার্যক্রম। গণনা কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নেন। দিনভর গণনা শেষে টাকার পরিমাণ দাড়াঁয় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।
জানা যায়, প্রতি তিন মাস পর পর সিন্ধুক খোলা হলেও এবার রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের জন্য চার মাস পর খোলা হয়েছে। এবারও সিন্ধুক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মসজিদে নিয়মিত গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ছাড়াও বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়। এ ছাড়া এই মসজিদের জমানো টাকা দিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ এখানে সুন্দর একটি ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে একশ কোটির বেশি টাকার প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। আশা করি দ্রুত মসজিদের কাজ শুরু করা যাবে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। তখন দিনভর গণনা শেষে প্রাপ্ত দানের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।