ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে জিন তাড়ানোর নাম করে এক স্কুলছাত্রীর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার শুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার সকালে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ওই কবিরাজ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আয়েশা ইসলাম প্রিয়ন্তীর (১৩) বাবার নাম আরিফুল ইসলাম। প্রিয়ন্তী চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
প্রিয়ন্তীর বাবা আরিফুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরে প্রিয়ন্তী অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলে ডাক্তার দেখিয়েও কোনো উপকার পাচ্ছেন না। শুড়া গ্রামের ছায়েদ আলী কবিরাজের কাছে গেলে প্রিয়ন্তীর ওপর জিন ভর করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ছায়েদ আলী প্রিয়ন্তীকে ঝাড়-ফুক ও গরম পানি দিয়ে ঝাড়ে। সে দুই দফায় আমার কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নেওয়ার পরও আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় একপর্যায়ে আমাকে ও আমার কন্যাকে অজ্ঞান করে এবং গরম পানি ও নিম পাতা দিয়ে কন্যার সারা শরীরে শেক দেয়। এতে শরীরের ৪০ ভাগ ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে প্রিয়ন্তীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, দগ্ধ প্রিয়ন্তীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এরপর থেকেই কবিরাজ ছায়েদ আলী পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।