রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

র‌্যাব হেফাজতে থাকা নারীর মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে : রামেক পরিচালক

র‌্যাব হেফাজতে থাকা নারীর মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে : রামেক পরিচালক

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ। গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীনে মারা যান তিনি।

কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কালবেলাকে বলেন, ‘ওই নারী র‌্যাবের কাস্টডিতে ছিলেন। সম্ভবত পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। মাথার ডানপাশে তার আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে আঘাতটি খুব বড় ধরনের আঘাত না। পড়ে গেলে যেমন আঘাত পায় ঠিক তেমন। রামেক হাসপাতালে যখন ওই নারীকে নিয়ে আসা হয় তখন তিনি অচেতন ছিলেন। পরে তাকে নিউরো সার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে পাঠাই। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তার সিটিস্ক্যান হয়। সিটিস্ক্যান রিপোর্টে তার ‘ইন্ট্রাক্যানিয়েল হিমোরেজ’ ধরা পড়ে। অর্থাৎ তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তার ব্রেনের ছোট-বড় মিলে বিভিন্ন জায়গায় এই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।’

এক প্রশ্নের জবাবে রামেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘মাথায় আঘাত করলে কিংবা মারধর করলে বিভিন্ন ধরনের যে লক্ষণ থাকে সে ধরনের কোনোকিছু ছিল না। শুধু তার মাথায় একদিকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার হাইপার টেনশনের হিস্ট্রিরি ছিল এবং যখন তাকে ভর্তি করা হয় তখন ব্লাড সুগার লেভেলও বেশি (১৪) ছিল। অর্থাৎ তার ডায়াবেটিসের মাত্রাও বেশি ছিল। মারা যাওয়ার পর তার পোস্ট মর্টেম হয়েছে। মাথায় আঘাতের চিহ্নটা কীভাবে হয়েছে এটি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।’

এদিকে র‌্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুলতানা জেসমিনকে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন।

Link a Story

শিশু হাসপাতালে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুলতানার মামা নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, তার ভাগনি বুধবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তির মোড় থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র‌্যাবের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তবে তাকে র‌্যাবের কোন ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছিল তা তারা জানতেন না। ওইদিন দুপুর ১২টার পর জানতে পারেন, সুলতানা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে তিনি র‌্যাবের লোকজন দেখেন। কিন্তু তার ভাগনি কোনো কথা বলতে পারছিলেন না। কিছুক্ষণ পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। যদিও লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে শনিবার দুপুরের পর।

তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর আগে সুলতানার সঙ্গে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর এক সন্তানকে নিয়ে অত্যন্ত কষ্ট করে বড় করছিলেন তিনি। শহরের জনকল্যাণ এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে ছেলেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। তিনি ভূমি কার্যালয়ের একজন সামান্য কর্মচারী। কোনো দিন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ কেউ করেননি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ারকে রোববার রাতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আর্কষণীয় বেতনে প্রাণ গ্রুপে চাকরি

সিরাজগঞ্জে হিটস্ট্রোকে আরও এক কৃষকের মৃত্যু

ভূমি অফিসে চায়ের দাম ৫শ টাকা!

হঠাৎ এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

তীব্র তাপদাহেও কক্সবাজারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

উত্তাল ফরিদপুরে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ারশেল-গুলি

জামায়াতের ২ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফের কারাগারে আ.লীগ নেতা

রাতে মাঠে নামবে চেন্নাই, একাদশে থাকবেন তো মোস্তাফিজ

বৃষ্টির পানির জন্য চোখের পানি ফেললেন হাজারও মুসল্লি

১০

তীব্র গরমে যবিপ্রবিতে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

১১

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

১২

৬ বছরে সিনেমা থেকে কত টাকা আয় করল সৌদি

১৩

এল ক্লাসিকো / জানা গেল কেন ইয়ামালের গোল দেয়নি রেফারি 

১৪

অনলাইনে পাঠদানের পরামর্শ অভিভাবকদের 

১৫

৪৬তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ

১৬

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা

১৭

সিনেমা থেকে আয় বাড়াতে সৌদির নতুন উদ্যোগ

১৮

গাজীপুর মহাসড়কের পাশে পড়ে ছিল হাতির রক্তাক্ত মরদেহ

১৯

নবীনদের চাকরির সুযোগ দিচ্ছে বিকাশ

২০
*/ ?>
X