
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ছেলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠার পর মা-বাবাকে ডেকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের স্টোররুমে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য দুই ঘণ্টা পর সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন চেয়ারম্যান।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সদর উপজেলার মিয়ারবাজার এলাকায় বাবুল নামে একজনের অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি হয়। ঘটনাটি তিনি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজুকে জানান। এ ঘটনায় ছোট বল্লভপুর গ্রামের পারভেজকে সন্দেহ করেন চেয়ারম্যান। পরের দিন বিকেলে পারভেজের বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ ও মা পারুল বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। চেয়ারম্যানের কথামতো তারা পরিষদে গেলে তাদের ছেলে চুরি করেছে বলে গালাগাল করেন তিনি। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই দম্পতিকে পরিষদের স্টোররুমে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। দুই ঘণ্টা পর সাদা কাগজে সই নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর ছাত্তারের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। একই ঘটনায় ওই সময় ফিরোজ আলম নামে এক কিশোরের বাবা আবুল কাশেমকেও ডেকে এনে গালাগাল ও স্টোররুমে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘পারভেজ অপরাধ করেছে কিনা জানা নেই। কিন্তু বিনা দোষে চেয়ারম্যান আমাদের স্টোররুমে আটকে রেখেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। ন্যায়বিচার পেতে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রাজু বলেন, ‘পারভেজ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ তাকে খোঁজ করতে গিয়ে পায়নি। এতে তার বাবা ইউসুফকে আমি পরিষদে ডেকেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছেলে খুঁজে আনার জন্য বলা হয়েছে। ইউসুফকে কোথাও আটকে রাখা হয়নি। তার স্ত্রীকেও পরিষদে আসতে বলিনি; আসেওনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’