পাবনার ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৫ শতাধিক কলাগাছ ও প্রায় ১ বিঘা জমির ফলন্ত শিমগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, শত শত ফলন্ত কলাগাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। সাংবাদিকদের দেখে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. ফারুক হোসেনের স্ত্রী মোছা. সেলিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে একই এলাকার সাবেক মেম্বার আবু বক্কার সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান মজনুর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিষয়ে পাবনা আদালতে মামলা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। প্রায়ই মিজানুর রহমান মজনু আমাদের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে তার ভাই ফজলুর রহমান ফজলু (৪০), আজিজুর রহমান আরজু (৩৫), চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর সরদার (৫৫) ও ভাতিজা রাসেল (২৫)-সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ধারালো রামদা, হাঁসুয়া ও পিস্তলসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।’
মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৫ শতাধিক ফলন্ত কলাগাছ এবং প্রায় ১ বিঘা জমির ফলন্ত শিমগাছ কেটে সাবাড় করে। সে সময় পরিবারের সদস্য মোছা. সেলিনা খাতুন (৪৫), সাবিহা খাতুন (৫৫) ও মোছা. রুবিয়া খাতুনকে (৪২) মারধর এবং বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে গলায় রামদা ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ৯৯৯-এ কল দিলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’