বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার তালতলী থানার এক উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান বৃহস্পতিবার মামলাটি গ্রহণ করেন এবং পিবিআই পটুয়াখালীকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার একমাত্র আসামি বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত। আর মামলার বাদী বর্তমানে বামনা থানায় কর্মরত।
বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখায় থাকাকালে তাদের মধ্যে পরিচয়ের সূত্র বলে জানা গেছে। একই স্থানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। এ সময় আসামি বাদীর দুই সন্তানসহ তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাদী বলেন, আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। অভিযুক্ত সর্বশেষ গত বছর ২৪ অক্টোবর বরগুনা চরকলোনিতে আমার বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আমি রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে বললে সে অস্বীকার করে চলে যায়। তারপরও আমি তার সঙ্গে বহুবার কথা বলে বিয়ে করতে বলেছি। সে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বলেন, বাদীর মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাদী আমার চেয়ে বয়স ও সার্ভিসে সিনিয়র। আমাকে বিয়ে করতে বললে আমি রাজি হইনি। এ কারণে আমার মানসম্মান নষ্ট করতে মামলা করেছে।
বরগুনা থানার ওসি আলী আহম্মদ বলেন, বাদী বরগুনা থানায় এ রকম কোনো ঘটনায় মামলা করতে আসেনি। কেউ মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হতো।