পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা হত্যা মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার আ. রহমান সরদারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন ওরফে সালো, লক্ষাকাঠী এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে মো. রসূল, ঝাটকাঠী এলাকার বারেক শেখের ছেলে মো. রাজ্জাক শেখ এবং বাজুকাঠী এলাকার আমির হোসেন সরদারের ছেলে সিপন।
নিহত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা (২৯) পিরোজপুর সদর উপজেলার খুমুরিয়া এলাকার মীর আবদুর রবের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের তৎকালীন ভিপি মেজবাহ উদ্দিন মুক্তাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় মেজবাদ উদ্দিন মুক্তার বাবা মীর আবদুর রব বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মেজবাহ উদ্দিন মুক্তা মারা যান। মামলার অভিযোগ তদন্ত করে পিরোজপুর সদর থানার এসআই আবুল বাসার ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট ৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে আদালতের বিচারক ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন।
রায় ঘোষণার সময় নিহত সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মুক্তার পরিবারের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিল না বলে জানান এপিপি অ্যাডভোকেট মো. জহুরুল ইসলাম।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান।
আর্কাইভ 
| ২৫ এপ্রিল ২০২৪ 