হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামের এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলক দাশ (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলি নৌ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আটক পুলক দাশ নবীগঞ্জ উপজেলার কাদিরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় মার্কুলি বাজারে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পুলক দাশের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলক ক্ষুব্ধ হয়ে জাহাঙ্গীরের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, ওসি অজয় কুমার দেবসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। সেখানে অভিযান চালিয়ে রাতেই পুলক দাশকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, পুলক দাশ ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলক একজন মাদকাসক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, মাদক সেবনে নিষেধ করার জন্যই এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, নৌ পুলিশে চাকরি করার সুবাদে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল জাহাঙ্গীর আলমের। ঘটনার আগের দিন ওই এলাকায় পুলক দাশকে গাঁজা সেবন করতে দেখলে তিনি তাকে এসব না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ কারণে ক্ষোভ থেকেই পুলক দাশ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।