সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধীরা এখন সমাজের বোঝা নয়। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ।’
এর আগে আজ বুধবার সকালে নিজের সহধর্মিণীর নামে প্রতিষ্ঠিত শ্যামনগরের ফাতিমা জগলুল প্রতিবন্ধী স্কুলের ১৯৫ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আনন্দঘন সময় কাটান তিনি। তাদের নিজ হাতে ডিম ও গরম দুধ খাইয়ে দেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা প্রতিবন্ধীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রয়াসে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ফুলবাড়ীতে ফাতেমা জগলুল প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ও স্কুল আঙিনা ঘুরে দেখেন এস এম জগলুল হায়দার, এমপি।
সে সময় তিনি সব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন, তাদের গাওয়া গান শোনেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী শিশুদের গুরুত্ব সহকারে ও পরম মমতায় দেখার জন্য স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সংসদ সদস্য এ সময় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পর্কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কানাকে কানা আর খোঁড়াকে খোঁড়া বোলো না—শৈশব থেকে আমরা এই শিক্ষা পেয়েছি। শিশুদের শৈশব থেকে এই শিক্ষা দিতে হবে, যাতে তারা মানবিক হয় এবং আমাদের সঙ্গে চলতে পারে—এটিই সবচেয়ে বড় কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবার জন্য সব মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে তার সরকার বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জন্য স্বাধীনতা নিয়ে এসেছেন। আমাদের লক্ষ্য হলো এই স্বাধীন দেশের সব জনগণ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে এবং আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি।’
দেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের ওপর জোর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের গুরুত্ব দিচ্ছেন, যাতে তারা উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে না থাকে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ জি এম আকবর কবীর, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার বিশ্বাস, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু, সাংবাদিক শেখ নাজমূল হাসানসহ ওই স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও অভিভাবকেরা।