পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন কামালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গভীর রাতে উপজেলা সদরের নিজ বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে তাকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয় বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে। নেওয়ার সময় মারধর করেছে, খারাপ ব্যবহার করেছে। তাকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তাকে আদালতে পাঠানোর দাবি জানান।
পরিবারের ধারণা করছে, গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে ভটভটি ও লেগুনার বেপরোয়া গতিতে চলাচল নিষেধ করে কড়ইতলা স্থানীয় দোকানিরা। এ নিয়ে লেগুনার চালকের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত দোকানি ও রিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে লেগুনাচালকের পক্ষে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন কামালের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন তিনটি মোটরসাইকেলে দলবল নিয়ে এসে ওই দোকানি ও রিকশাচালকের ওপর চড়াও হন।
তাদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে মামুন হোসেন ও রকি হোসেনকে গুলি করেন। এ সময় তার সঙ্গীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলর কামালকে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে র্যাব-১২ পাবনার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) কিশোর রায়ের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।