বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনের ফল পাল্টানোর যে অভিযোগ হিরো আলম করেছেন তার কোনো ভিত্তি নেই উল্লেখ করে ঘোষিত ফলাফলকে ‘শতভাগ সঠিক’ বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। ইসি রাশেদার সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমজমাট লড়াই করা হিরো আলম।
উপনির্বাচনের দুদিন পর আজ শুক্রবার বিকেলে বগুড়া-৪ আসনের কাহালু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে যান হিরো আলম। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে বলেন, ‘হিরো আলম আর তানসেনের (বিজয়ী প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন) মধ্যে গণভোট দিন। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে কী দেয়নি, ফলাফল চুরি করেছেন কি না সেটা দেখাব।’
তিনি বলেন, ‘গণভোটে প্রতিটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেবেন এবং যারা নির্বাচন কমিশনার আছেন, তারা সবাই সেই ভোট দেখবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি গণভোটের মাধ্যমে হেরে যাই, আমি আর কোনো দিন নির্বাচন করব না; নির্বাচনের নামও মুখে আনব না।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি চাই গণভোট হবে ব্যালটে। কারণ ইভিএমে কারচুপি হয়। আর কারচুপি করেই আমাকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। আমি কাহালু উপজেলার প্রতিটা কেন্দ্রে ঘুরছি। ভোটাররা আমার হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, আপনার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’
হিরো আলম জানান তিনি ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিট করবেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, সেখানে আমার পক্ষে রায় আসবে।’
এর আগে তিনি কাহালুতে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
গত বুধবার বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পান ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম একতারা প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পান। ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান হিরো আলম।
ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই হিরো আলম অভিযোগ করে আসছেন, তাকে হারানো হয়েছে। ফলাফল প্রকাশে কারচুপি হয়েছে।