রংপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলন শেষে জীবন কুন্ডকে সভাপতি ও পার্থবোসকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকালে এই কমিটি ঘোষনা করা হয়।
এর আগে, সকালে রংপুর নগরীর এসোড ট্রেনিং সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সাইফুজ্জামান ফারুকী। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রংপুর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রামকৃষ্ণ সোমানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্র নাথ পোদ্দার।
তিনি বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সনাতন ধর্মালম্বী লোকজন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। ৭৫-এ শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হারানোর পর এই জাতি আবার পাকিস্তানি চিন্তা চেতনায় আগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্দেশ্য পূজা করার জন্য নয়, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য। আমরা বিশ্বাস করি সত্যিকার অর্থে, আক্ষরিক অর্থে যদি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে এখানে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পারবে। অন্যদিকে প্রত্যেক মানুষ ধঅমীয় সম্প্রীতির মধ্যদিয়ে মানবিক ম্যল্যবোধ দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে সারাদেশে দুর্গাপূজার সময় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছিল এটা শুধু বাংলাদেশে না সারা বিশ্বজুড়ে কলঙ্কের অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। অথচ আজ পর্যন্ত একটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
তিনি বলেন, কথায় কথায় ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মধ্যদিয়ে সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছি, এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। একটি ঘটনার বিচার করেন অবশ্যই সাস্প্রদায়িক সহিংসতা শুন্যের কোটায় চলে আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা। তিনি বলেন, আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করি, আসার সময় আছে যাওয়ার সময় নেই। আজকে এখান থেকে শপথ নিন আমরা প্রত্যেকে বাড়িতে বাড়িতে আমাদের সন্তানদের গিতা পাঠ শেখাবো। আমাদের মেয়েদের উলুধবনি শঙ্ক ধ্বনি শেখাবো।
তিনি বলেন, আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে সনাতন ধর্ম পালন করেন, রক্ষা করেন। সবাইকে নিয়েই আমাদের থাকতে হবে, সবাই মিলে সংগঠন তৈরি করতে হবে। কারো প্রতি কারো অভিমান চলবে না। আমরা সবাই ভালো কেউ খারাপ না। এর মধ্যে যদি কেউ খারাপ থাকে তাহলে সবাই মিলে তাকে ভালো করবো।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী বিপ্লব দে, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী প্রানতোষ আচার্য্য শিবু, কেন্দ্রীয় কমিটির কার্য নির্বাহী সদস্য শ্রী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, কার্য নির্বাহী সদস্য ম্রী অনুপ কুমার রায় লিটন, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রীমতি রত্মা ঘোষ, রংপুর মহানগর শাখা সভাপতি শ্রী হারাধন রায় হারা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় প্রমুখ।