নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার ১৭ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
গত ৯ মার্চ শ্বশুরবাড়ি ফতুল্লার লালপুর কাজী বাড়িতে ‘অগ্নিকাণ্ডে’ দগ্ধ হয়েছিলেন ফাতেমা। অভিযোগ উঠেছে রহস্যজনক এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে বখাটে স্বামী আরিফ হোসেন এই ১৭ দিনের মধ্যে ফাতেমার বাবার বাড়ির কাউকে কিছুই জানায়নি।
ফাতেমা আক্তার (৩২) ফতুল্লার দাপা ইদ্রাতপুর সর্দারবাড়ির মৃত মোসলে উদ্দিনের মেয়ে। সোমবার বিকেলে ফাতেমার বড় ভাই মুন্না বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ করে লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছেন।
মুন্না বলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার আলী আহম্মদের ছেলে আরিফ হোসেনের সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় ফাতেমার। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি ইজিবাইক কেনার জন্য এক লাখ টাকা ফাতেমার কাছে দাবি করেন আরিফ। সেই টাকা ফাতেমা দিতে পারেননি বলে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় আরিফ। বিষয়টি তাদের বাড়ির আশপাশের অনেকেই জানে।
মুন্না আরও বলেন, ‘যৌতুকের টাকা না পেয়ে কেরোসিন ঢেলে ফাতেমার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আরিফ ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় ফাতেমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তারা। কিন্তু আমাদের কাউকে কিছুই জানায়নি। খবর পেয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে ময়নাতদন্ত করিয়েছি। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।