পাবনার ঈশ্বরদীতে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ার হোসেনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে আলাদা অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়া বারো কোয়ার্টার মহল্লার মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার উদ্দিন (৪২) ও একই এলাকার ইব্রাহিম হোসেন (২৬)। এ নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় মোট চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হলো।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর আরমবাড়িয়া এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে প্রথমে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আলাদা অভিযানে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
গত ৪ জানুয়ারি রাতে ঈশ্বরদীর পশ্চিমটেংরি কড়ইতলা এলাকায় শ্যালো মেশিনচালিত ভটভটির সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে গ্লাস ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিরোধ শুরু হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে রিকশাচালক মামুন হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এ ঘটনার পরদিন রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে তার ভাই আনোয়ার উদ্দিন, ভাতিজা হৃদয় হোসেন, ইব্রাহিমসহ আরও তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গত শুক্রবার পৌর শহরের শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিন ও ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।