সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে-মাঝিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা হলো জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. ম
হিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন, ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। বাঘ গুনতে সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরার মধ্যে নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত আটটি ক্যামেরা চুরি গেছে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে যারা নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে কিংবা অপতৎপরতায় জড়িত তারাই এসব ক্যামেরা সরিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে ক্যামেরা চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার রিপনের বাবা আমির হোসেন বলেন, অভয়ারণ্যে গিয়ে মাছ ধরায় তার ছেলেকে আটক করে ভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা সুন্দরবনে বাঘ-হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ক্যামেরা তারাই অপসারণ করতে পারে। অথচ প্রকৃত অপরাধীদের আটকে ব্যর্থ হয়ে বন বিভাগ নিরীহ জেলেদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে।