বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকা ৫১ পরিবারের ২৭০ জনকে দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের নিজস্ব পরিবহনে করে তাদের কক্সবাজারের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এবং কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবর্তন কমিশনের সমন্বয়ে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
আরআরআরসির কর্মকর্তা মো. মিজানুর বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে সরিয়ে নেওয়া রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন সরিয়ে নেওয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গাই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত ছিলেন। যাদের ডাটা আছে তাদের স্ব-স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান করা ৫৫৮ পরিবারের ২ হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গাকেও ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্যায়ে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কক্সবাজারের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম দফায় স্থানান্তরিত ৩৬ পরিবারের মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে ইউএনএইচসিআর কর্তৃক নিবন্ধিত রয়েছে ২৪ পরিবার ও আইসিআরসি কর্তৃক নিবন্ধিত রয়েছে ১২টি পরিবার।
গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জিরো লাইনে মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীরা বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তমব্রুর এপারে এসে আশ্রয় নেয়।