নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণ : রাজউক ও নাসিকের পরস্পর বিরোধী অবস্থান

বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের একটি চিত্র।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের একটি চিত্র। ছবি : কালবেলা

নারায়ণগঞ্জের ডাইলপট্টিতে ইলিয়াছ দেওয়ানের মালিকানাধীন ভবনে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা কাউকে আটক করা হয়নি।

সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান বলেন, ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ কোনো মামলা করেননি। কাউকে আটকও করা হয়নি।

গতকাল শনিবার সকালে জীর্ণশীর্ণ ওই ভবনে বিস্ফোরণ ঘটনার পর নগরে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ এ ধরনের আরও ভবনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

নাসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, নগরের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে রাজউক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পক্ষান্তরে রাজউক বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনের ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।

নাসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে তাদের করা জরিপ অনুযায়ী নগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ৪২টি। সেগুলোর মধ্যে বিস্ফোরণে ধসে পড়া ডাইলপট্টির ভবনটি সেই তালিকার ১৫ নম্বরে রয়েছে।

বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের একটি চিত্র।
নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণে নিহত ১, পেছনের অংশে ধস

ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ভবন মালিক ইলিয়াছ দেওয়ানকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এরই মধ্যে গত বছর এই  ভবনে  একই  ধরনের বিস্ফোরণে একজন নিহত হলেও ভবন মালিকের টনক নড়েনি।

রাজউকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা রাজউক কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব ভবন দেখভাল এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রাজউকের কাছে।

তবে মেয়রের দাবির ঠিক উল্টো কথা বলেন রাজউক নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের অথরাইজড অফিসার শুভঙ্কর সুস্ময় রায়। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট আইনও রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ভবন মালিকের সঙ্গে সদর থানার ওসিকে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছি। ভবন মালিক এলে এরপর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com