
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় আসামি ধরতে যাওয়ার পর র্যাবের সঙ্গে গ্রামবাসীর হট্টগোলের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে র্যাব-১১ বিজিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নাসিরউদ্দিন বাদী হয়ে ২১ জনের নামে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি করেন। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে গার্মেন্টকর্মী রোজিনা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি সেলিম মিয়াকে। এ মামলায় ইতোমধ্যে র্যাবের গুলিতে নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে সেলিম মিয়াকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলো বরগাঁও গ্রামের আমির আলির ছেলে সেলিম মিয়া, আবদুল বাতেনের ছেলে রুবেল, মৃত ইমান আলির ছেলে হযরত আলি, আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মৃত মালেকের ছেলে আমানউল্লাহ।
এদিকে ঘটনার দিন র্যাব সদস্যরা ২১ জনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর যাচাইবাছাই শেষে ১৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে জানা গেছে, তাদের আটকের পর ছাড়িয়ে নিতে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার আদমজী র্যাব কার্যালয়ে যান। তার অনুরোধে ওই ১৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার একটি হত্যা মামলার আসামি ধরতে সাদা পোশাকে ওই এলাকায় যায় র্যাব। গ্রামবাসীর সঙ্গে হট্টগোলের একপর্যায়ে র্যাবের গুলিতে নিহত হন বৃদ্ধ আবুল কাশেম।