
ছাগলনাইয়ায় গ্যাস সংকটের ফলে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ফলে রাস্তায় কমেছে গাড়ির সংখ্যা। তবে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজিতে ঝুঁকছেন চালকরা।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে চরমে পৌঁছেছে গ্যাস সংকট। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। বিশেষ করে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা।
অন্যদিকে গ্যাসের অভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সিএনজিচালিত বেশিরভাগ যানবাহন। এতে বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী এবং নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারছে না এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। তবে চালকদের একটি অংশ এলপিজি দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চলাচল সচল রেখেছে।
এ দিকে অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গাড়ি ভাড়া তুলনামূলক বেড়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ দেড় থেকে দুগুণ বেড়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিএম অটোগ্যাসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, দুদিন ধরে এলপিজি গ্যাসের গাড়ি বেড়েছে। প্রায় ৫০টি গাড়ি এলপিজি গ্যাস নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চালক জানান, লাইনের গ্যাস ৪৫ টাকা এলপিজি ৫৭ টাকা। দুদিন গ্যাস সংকট থাকায় আমার গাড়ি গতকাল থেকে এলপিজিতে রূপান্তর করি। তাই ভাড়া বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই। অনেক গাড়ির গ্যাস নেই। তাই বন্ধ রেখেছেন।
মুহুরিগঞ্জ ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে রোডে স্থাপিত ইকবাল অ্যান্ড সন্সের কর্মকর্তা মো. আলম জানান, আমাদের এখানে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। গতকাল একটু সমস্যা হলেও গত রাত থেকে আমরা গ্যাস দিচ্ছি। তবে মাঝেমধ্যে সমস্যা হলে বন্ধ রাখা হয়।
এ দিকে ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে ফেনী জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার জানান, কোনো চালকের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংগঠন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।