
বাংলাদেশের থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল—বিএনপির এক নেতার এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, এ দেশে থাকবেন, এ দেশের আলো-বাতাস নেবেন; আর গুণকীর্তন গাইবেন পাকিস্তানের। পাকিস্তানও খুব সুখে নেই। ইমরান খানকে ঘাটে ঘাটে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমার দেশে রাজনীতি করে পাকিস্তানি গুণকীর্তন গাইবেন না। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না, আমরা যতদিন বেঁচে আছি।’
তিনি আরও বলেন, আরেকজন বলেছেন হঠাৎ বাংলাদেশ হয়েছে। বাংলাদেশ না হলে আপনি চায়ের দোকানেও কাজ করতে পারতেন না। বাংলাদেশ হওয়ায় বহু মানুষের তেল হয়েছে। এ দেশটাকে বাঁচাতে হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মিসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজ দেশের অবস্থা একেবারে ভালো না। আমাদের বিএনপির একজন নেতা, ভালো মানুষও বলা যায় তাকে। তিনি হঠাৎ কেন যে বলে বসলেন বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ভালো ছিল। যে বাংলাদেশের জন্য আমি রক্ত দিয়েছি, সত্যিকারের রক্ত। কারও যদি মনে হয় বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান ভালো ছিল তার এক মুহূর্ত বাংলাদেশে থাকার দরকার কী। তুমি পাকিস্তানে গিয়ে নাচানাচি করো। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই।’
জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন প্রমুখ।
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘গামছার দল করি বলে নৌকাওয়ালারা ভাইবেন না বঙ্গবন্ধু সবখানি আপনার। বঙ্গবন্ধুকে যখন মারা হয়, তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা তখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে ওরা নির্বংশ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা আমি নেবই নেব। যদি প্রতিবাদ না করতাম আমার ছোট ভাই শামীমও বাঁচত না, আইভীও বাঁচত কিনা জানি না। তাই একটু ভেবেচিন্তে কথা বলবেন।’