জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছি, বললেন মোখা দেখতে যাওয়া পর্যটক

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছি, বললেন মোখা দেখতে যাওয়া পর্যটক

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। আছড়ে পড়ছে বড় বড় ঢেউ। থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। কুয়াকাটা উপকূলে চলছে ৮ নম্বর বিপৎসংকেত। ঝড় থেকে রক্ষা পেতে উপকূলবাসীকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিপৎসংকেতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিছু পর্যটক পরিবার নিয়ে মোখার প্রভাব উপভোগ করার জন্য ভিড় জমিয়েছে কুয়াকাটা সৈকতে।

এদিকে আপ্রাণ চেষ্টা করেও সৈকত থেকে পর্যটক সরাতে ব্যর্থ হচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত সৈকতে পর্যটকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের অনুরোধে হোটেলে ফিরে গেলেও আজ রোববার সকালে আবার ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে কিছু পর্যটক ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছে। কেউ প্রিয়জন, কেউ দলবল নিয়ে ছবি তুলছে। কেউ আবার সমুদ্রপাড়ে হাঁটছে। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাউকে সমুদ্রে নামতে দিচ্ছে না।

ঢাকার রামপুরা থেকে মোখা দেখতে কুয়াকাটা এসেছেন রাকিব তাসনিম।

তিনি বলেন, সৈকতে বসে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় পার করছি। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সেগুলো উপভোগ করছি।

আবহাওয়া খারাপ জানা সত্ত্বেও পরিবার ছেড়ে দূরে অবস্থান করছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঝড়ে কেমন থাকে সমুদ্র, এই পরিবেশ দেখার জন্যই কুয়াকাটায় আসা।

শরীয়তপুর থেকে আসা জহির লিমা দম্পতি বলেন, কিছুদিন আগে বিয়ে করেছি। কুয়াকাটায় হানিমুনে এসেছি। ঝড়ের কথা শুনে আর বের হইনি, যদি পথে আটকা পড়ি তাই। এখন পুরো সময়টা এনজয় করছি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় আমরা সর্বদা পর্যটককে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করছি। কখনো কখনো তাদের ভয়াবহতা বোঝানোর চেষ্টা করছি, তবুও কিছু পর্যটক কোনোভাবেই হোটেলে পাঠানো যাচ্ছে না। পাশাপাশি ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা প্রদানে বিভিন্ন স্পট নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেন কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com