জমি দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর

হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ছবি : কালবেলা

সাভারের আশুলিয়ায় চার হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি মন্দিরও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের মোত্তারটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানায়, অনেক বছর আগে মোত্তারটেক এলাকার কেশব লাল নামে এক ব্যক্তি তার ৪১ শতাংশ জমি ওই এলাকার চারটি হিন্দু পরিবারকে বসবাস করার জন্য দিয়ে ভারতে চলে যান। সেই থেকে চারটি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা সেখানে বসবাস করে আসছিলেন। পরে একটি পক্ষ জাল দলিল তৈরি করে ওই জমি কিনে নিয়েছে বলে দাবি করে। গতকাল কিছু লোক ওই জমির চার পাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে। সেইসঙ্গে হিন্দু পরিবারের লোকজনকে জমি ছেড়ে বাড়িঘর অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে রাতে এক দল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই হিন্দু ধর্মালম্বী পরিবারের মাঝে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, দোকানপাট ও পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করে।

হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
১৫ হাজার ছেলেমেয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যেতে পারবেন : পলক

ভুক্তভোগী রেখা রানি নামে এক নারী বলেন, দুর্বৃত্তরা যখন হামলা চালায় তখন তাদের বলা হয় বাড়িঘর ছেড়ে না গেলে সবাইকে হত্যা করা হবে। এ সময় তারা একটি দোকানের মালামাল পুকুরে ফেলেও দেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহাগ মেম্বারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম ও আশুলিয়া থানার এসআই নুরুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুর্বৃত্তদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তারা।

হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মন্দির ভাঙচুরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পাহাড় খুঁড়লেই মিলছে কালো সোনা!

ইউএনও মাজহারুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম মোল্লা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি অভিযুক্ত মেম্বারকে উপজেলা পরিষদের ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.
logo
kalbela.com