শেরপুরে চলতি অর্থবছরে ৩৮ হাজার ২১২ জন বিধবা সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার আওতায় এসেছেন।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ টি এম আমিনুল ইসলাম জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেলার পাঁচটি উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় ৩৮ হাজার ২১২ জন বিধবাকে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ১২ হাজার ৩৩১ জন, নকলায় পাঁচ হাজার ৮৮৩ জন, নালিতাবাড়িতে আট হাজার আটজন, ঝিনাইগাতীতে চার হাজার ৬৭৪ জন, শ্রীবরদীতে ছয় হাজার ৯৭৭ জন ও চারটি পৌরসভায় ইউসিডি ৩৩৯ জনের ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে অনেকের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, যাচাইবাছাইয়ের জন্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাতাভোগীরা মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তিন মাস পরপর তাদের নিজ অ্যাকাউন্টে ভাতা পাবেন।
কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী বিধবা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছে ১০ বছর আগে। আমার চার সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করছিলাম। ছেলেরা ঢাকার কাম কাজ করে সংসার চালায়। তাদের নিজের চলাই কষ্টের, আমাকে কে দেখবে? প্রধানমন্ত্রীর কার্ড পেয়ে আমি এখন খেয়ে পরে বেঁচে আছি।’
শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, শেরপুরে সামাজিক নিরাপত্তার ভাতা স্বচ্ছভাবে দিতে এবং বিধবাদের যাচাইবাছাই করতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছি কোনো বিধবা মারা গেলে তা তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য। অবহিত না করলে অনেক সময় মৃত ব্যক্তিদের মোবাইলেও টাকা চলে যেতে পারে। সেদিক থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।