শত ভাগ বিদ্যুৎতায়িত উপজেলা সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গত ৬ মাসে প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ ১৭ হাজার ৩১৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে।
এ দিকে বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল তুলতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলাজুড়ে মাইকিং করে ও গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাগাদা দিয়ে অবিলম্বে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে লাগাতার অনুরোধ করছেন। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযানে গত চার মাসে ৮০৪টি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৬০ হাজার ৮০০ জন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ১২ লাখ ১৭ হাজার ৩১৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। যার মধ্যে সরকারি অফিসের বকেয়া রয়েছে ৮২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
এর মধ্যে আবাসিক, সরকারি অফিস, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র, মিল কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গত ছয় মাসের অধিকাংশ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে, ব্যাংকে, কিংবা বিকাশের মাধ্যমে বকেয়া পরিশোধ করেননি।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহে তাদের কর্মীদের দিয়ে গ্রামে মাইকিং করে ও বাড়িতে গিয়ে তাগাদা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অনুরোধ করছেন।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নিরাপদ দাস কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগকে সচল রাখতে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে যে সব গ্রাহক গত ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি তাদের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সর্বোপরি দেশের স্বার্থে দ্রুত বকেয়া বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শত ভাগ বিদ্যুৎতায়িত উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পরও বিপুল অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার এ হাল মেনে নেওয়ার মতো না। তাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন এড়াতে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা উচিত।
আর্কাইভ 
| ২০ এপ্রিল ২০২৪ 