কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা লাখো মুসল্লি অংশ নেন।
জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ। মুসল্লিদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এই ঈদগাহ ময়দান। ঈদের নামাজের মোনাজাতে মুসল্লিরা দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং মানুষের সুস্থতা কামনা করেন।
জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ২০১৬ সালে দুজন পুলিশ সদস্যসহ মোট তিনজন এখানে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন। তখন থেকে আমরা সব সময় বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি ও করছি। এবারও আগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল শোলাকিয়ায়। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসছে, তাদের পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে যেতে হয়েছে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে যেতে হয়ে মুসল্লিদের। মাঠে ওয়াচ টাওয়ার ছিল ছয়টি। তার মধ্যে র্যাব ব্যবহার করেছে দুটি আর চারটি ব্যবহার করছে পুলিশ। এখানে পোশাকধারী পুলিশ, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা গোয়েন্দা শাখা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, মাঠে প্রবেশের গেইটে আর্চওয়ের মাধ্যমে চেক করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ধারা পুরো মাঠ নজরদারি করা হয়েছে, বাইনোকোলার, চারটি ড্রোন ক্যামেরা, ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হয়েছে। পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও এর মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া বোম ডিসপোজাল টিম ঢাকা থেকে আনা হয়েছিল। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।