টাকার বিনিময়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকেরের এ-সংক্রান্ত একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ৫৪ সেকেন্ডের অডিও কল রেকর্ডে বাকের তার নিজের হিসাব মিলিয়ে কমিটি দেওয়ার কথা বলেছেন। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার কথা বললেও সেখানেও তিনি হিসাব মেলানোর কথা বলেছেন।
সূত্র বলছে, এসব ঘটনার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষনেতার হাত রয়েছে। বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত অনেক নেতাই শুরু থেকে কমিটি ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ করে আসছেন। এ কারণে তারা কমিটি ঘোষণার পর থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
তাদের অভিযোগ, যাদের হাতে বগুড়া ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সাধারণ সম্পাদক জয় কোনোদিন বগুড়ায় রাজনীতি করেনি। এ ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক অভিযোগ। ঠিক সেই সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকেরের একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় এই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছেন বগুড়া ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের বগুড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকেরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো বলেন, টাকার বিনিময়ে সংগঠন বিক্রি করা দলের জন্য লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক। কল রেকর্ড শুনেছি। একজন দায়িত্বশীল নেতা এভাবে অযোগ্য লোকদের নির্বাচিত করার জন্য বাণিজ্য করবে—ভাবতে অবাক লাগে।