লক্ষ্মীপুরে একটি পর্নোগ্রাফি আইনে দায়েরকৃত মামলায় আবিদ হাসান আকাশ (২৮) নামে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আকাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়ের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আকাশ চাঁদপুর সদর উপজেলার মধ্যম শ্রীরামান গ্রামের মৃত মনা হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২২ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে আবিদ হাসান আকাশের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং আকাশ চাঁদপুর থেকে লক্ষ্মীপুরে এসে ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করত।
২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি দুপুরে আকাশ চাঁদপুর থেকে এসে লক্ষ্মীপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করেন। বিয়ের প্রলোভনে সেখানে তারা শারীরিক সম্পর্ক করেন। এ সময় এক ফাঁকে আকাশ সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরবর্তীতে ওই নারী প্রেমিক আকাশকে বিয়ে করতে বললে সে টালবাহানা শুরু করে। এরপর একই বছরের ৪ জুন ওই নারী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীকে বিয়ে করেন।
কিন্তু আকাশ তাকে আবারও দেখা করতে বলে। এতে অস্বীকৃতি জানালে আকাশ ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে ধারণকৃত ছবি ও ভিডিওগুলো ওই নারীর স্বামী এবং শ্বশুরের ইমো নাম্বারে পাঠায়। বিষয়টি তিনি তার অভিভাবকদের জানালে তারা লক্ষ্মীপুরের র্যাব-১১ সদস্যদের অবহিত করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সকালে আকাশ ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে লক্ষ্মীপুর পৌর শিশুপার্কের সামনে আসলে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ওইদিন ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আকাশের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২ মার্চ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তার কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।