সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের আলোচিত এ ঘটনায় গত দুই দিনেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কোনো মামলাও হয়নি। এই তথ্য নিশ্চিত করেন নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈনুল জাকির। তবে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যুবরণ করেন কামাল। তিনি জানান, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাঁ হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে দুটি, বুকের বামপাশে একটি ও বাম পায়ে ছয়টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ বলছে, আ ফ কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। তন্মধ্যে আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজন ছিল। এদের মধ্যে সম্রাট ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, কামাল খুন কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যবসায়িক কারণে হতে পারে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন। গত অক্টোবরে কামালের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্রাটের ঝামেলাও হয়। পরে সম্রাট কোতোয়ালি থানায় কামালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
এদিকে কামাল খুনের প্রতিবাদে রাতে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগে দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর বড়বাজার এলাকায় খুন হন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল।