বরগুনায় নেশা করার জন্য টাকা এনে না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সবুজ ফকিরের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূ সীমা বেগমকে (৩৫) পুলিশ উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সীমা বেগমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের সীমা বেগমের সঙ্গে আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামের সবুজ ফকিরের বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা সোনা মিয়া আকন মেয়ের সুখের কথা ভেবে সংসারের যাবতীয় মালামাল দিয়ে দেন। কিন্তু শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ পাওয়া ২০ হাজার টাকা নেশা করেই শেষ করে দেয় সবুজ ফকির।
এরপরও সংসারে বিভিন্ন সমস্যার কারণ দেখিয়ে সীমা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য মারধর করতেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সীমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন। কিন্তু সীমা বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় ঘরে আটকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করে। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরের দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফের তাকে টাকার জন্য মারধর করেন। একপর্যায়ে স্বজনদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
Link a Story
জমি দখলকে কেন্দ্র করে হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর
সীমা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পরই দেখি স্বামী নেশাখোর। নেশার টাকার জন্য আমাকে মারধর করত। এর মধ্যে একটি ছেলে হয়। তার মুখের দিকে তাকিয়ে এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু গতকাল ও আজ ২০ হাজার টাকার জন্য আমাকে অনেক মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।’ তবে অভিযুক্ত সবুজ ফকির মারধর এবং টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, সীমার তলপেটে এবং হাতে-পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।