কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এক স্কুলশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার নৈয়ার ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বরখাস্ত হওয়া প্রীতম সরকারের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন মন্তব্য ও চাকরিবিধি-বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রীতম বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সাধারণ বিজ্ঞান) এবং উপজেলার বিটেস্বর ইউনিয়নের বরকোটা গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি। শিক্ষক প্রীতম সরকারকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয়রা বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈয়ার ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এবং নৈয়ার বাজারে অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ করেছেন।’
বিক্ষোভকারীরা জানান, প্রীতম স্যার তার ফেসবুকে আল্লাহ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তিন দিন আগে করা মন্তব্যটি জানাজানি হলে ছাত্র ও এলাকাবাসী সবাই প্রীতম সরকারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, এলাকাবাসী স্কুলমাঠে উপস্থিত হন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিনুল হাসান, মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে প্রীতম সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘোষণা দিলে বিক্ষোভ স্থগিত হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন তার ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ করেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘নৈয়ার স্কুলের শিক্ষক প্রীতম সরকারের ফেসবুক আইডিটি হ্যাক হয়েছে। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। যে ব্যক্তি হ্যাক করে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করবে।’