নীলফামারীর জলঢাকায় বিয়ে বাড়িতে অতিরিক্ত বড়যাত্রী এবং গোশত কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে বরপক্ষ ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বরের বাবার। গতকাল শুক্রবার রাতে জলঢাকার আমরুলবাড়ী গ্রামের বগুলাগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে কনের বাবা আনারুল ইসলাম ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বরের বাবা নুরু মিয়া রংপুর নগরীর হাজিরহাটের উত্তম বাওয়াইপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে পারিবারিকভাবে জলঢাকা পৌর এলাকার আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে নুরু মিয়ার ছেলে আলীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে কনের বাড়িতে বরপক্ষের একশ জন অতিথি আসার কথা থাকলেও অতিরিক্ত অতিথি আসে। সেজন্য খাওয়ার সময় গোশত কম পড়ে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় বাগবিতণ্ডা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন বরের বাবা নুরু মিয়া। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় বিপ্লব চিশতি জানান, কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়েছিল। একপর্যায়ে বরের বাবাকে মারধর করে কনেপক্ষের লোকজন।
Link a Story
কাদিয়ানিদের জলসা আটকাতে সংঘর্ষ, নিহত ২
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেজবাহুর রহমান প্রধান কালবেলাকে জানান, হাসপাতালে আসার আগেই বরের বাবার মৃত্যু হয়েছে।
জলঢাকা থানার এসআই সজল কুমার সরকার বলেন, ‘বরপক্ষের লোকজনের সঙ্গে কনেপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। ক্রমে তা হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রূপ নেয়। একপর্যায়ে বরের বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মৃত্যু হয় তার। বাকিটা ময়নাতদন্তের পর জানা জাবে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কনের বাবাসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।